Wednesday, July 24, 2013

RAPE AND MURDER AT KAMDUNI: বললেন ধর্ষিতা আইনজীবী কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত থেকে সরানোর যুক্তি অবাস্তব

Ganashakti

বললেন ধর্ষিতা আইনজীবী কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত থেকে সরানোর যুক্তি অবাস্তব

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ২৪শে জুলাই— কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত আদালত থেকে সরিয়ে নেবার আবেদন অবাস্তব। কেন কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলা সরানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। বুধবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় একথা বলেন ধর্ষিতা মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা করেছেন সি আই ডি-র তদন্তকারী অফিসার আনন্দময় চট্টোপাধ্যায়। বুধবার আইনজীবী ভট্টচার্য আদালতে বলেন, রাজ্য সরকার অর্থাৎ সি আই ডি এবং ধৃত দোষীদের পক্ষ থেকে একযোগে মামলা বারাসত থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বারাসতে মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে। আইনজীবী ভট্টচার্য বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পৃথিবীর সর্বত্র হচ্ছে। এদেশেও বিক্ষোভ হচ্ছে বহু রাজ্যে। সম্প্রতি দিল্লিতে ধর্ষনের ঘটনায় বিরাট আকারে বিক্ষোভ হয়েছে। কলকাতার গার্ডেনরিচে রাস্তার ওপরে পুলিসকর্মী খুনের ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। বারাসত আদালতের মধ্যে কোন বিক্ষোভ হয়নি। সেখানে বিচার প্রক্রিয়া চলছে। যদি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিচারকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টের কোন অভিযোগ থাকতো তাহলে মামলা সরানোর আবেদন জানানোর অধিকারের প্রশ্ন আসতো। এখানে বিচারকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। বিচারের কাজ যখন চলছে, তখন মামলা সরানোর আবেদনের ফলে মামলার নিষ্পত্তি হতে অযথা দেরি করা হবে। আইনজীবী ভট্টাচার্য বলেন, ধৃত দোষীদের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, বারাসত আদালতে বার অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোষীদের পক্ষ নিয়ে কোন আইনজীবী আদালতে থাকবেন না। এই বক্তব্য সত্য নয়। কারণ এমন কোন সিদ্ধান্ত বারাসত আদালতে নেওয়া হয়নি। এছাড়া বারাসত আদালতে দোষীদের পক্ষে আইনজীবী কাজ করছেন। এই অবস্থায় মামলা সরানোর আবেদনের ফলে মূল মামলাটির ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যাবে। এদিনই মামলা সরানোর আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে

প্রসঙ্গত, কামদুনির নৃশংস ঘটনার দশ দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার দ্রুত করা হবে। তিনি বলেছিলেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টেই এই মামলার শুনানি হবে। বিচার প্রক্রিয়ার গোড়াতেই গলদ ধরেছিলেন বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক। তিনি বলেছিলেন কামদুনির ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সি আই ডি যে চার্জশিট দিয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও ভুলে ভরা। বিচারক অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরও মামলার শুনানি হয়েছে বারাসতে। কামদুনি মামলার তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য কিছুই করেনি সি আই ডি। এরপরই এই মামলার তদন্তকারী অফিসার চলে এসেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। তদন্তকারী অফিসার বারাসত আদালতে না গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা নিয়ে এলেন কেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কামদুনির মানুষ রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, দোষীদের আড়াল করতেই রাজ্য সরকার মামলা দীর্ঘায়িত করার ব্যবস্থা করছে। সরকার এখনও অপরাধীদের একজনকে ধরেনি। যাদের ধরা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকেই দোষী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। কামদুনির মানুষের দাবি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দ্রততার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা।

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44180#sthash.W1bBK6OM.dpuf

No comments:

Post a Comment