Wednesday, July 24, 2013

MAMATA BANERJEE AND MCCARTHYISM

Ganashakti

মমতার ম্যাকার্থিবাদ

শান্তনু দে

‘সোনার কেল্লা’ ছবির কিছু সংলাপ ব্যবহার করে ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। হালকা কার্টুন ‘ফরোয়ার্ড’ করার ‘অপরাধে’ অধ্যাপককে রাত কাটাতে হয় লক-আপে। মামলা চলছে এখনও।

খাস জঙ্গলমহলে বেলপাহাড়ির যুবক শিলাদিত্য চৌধুরীকে ‘মাসুল’ দিতে হয় তাঁর নিতান্তই নিরীহ প্রশ্নের জন্য। সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন শালমহলের গরিব কৃষক শিলাদিত্য প্রশ্ন করেছিলেন বাড়তে থাকা সারের দাম নিয়ে। মঞ্চ থেকেই ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী দেগে দেন, ‘আমার কাছে খবর আছে মিটিং ডিসটার্ব করার চক্রান্ত করছে কেউ কেউ। এই একজনকে আমি ধরিয়ে দিলাম, ও মাওবাদী’। 

কলকাতায় টাউন হলে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনাসভায় ‘অপ্রিয়’ প্রশ্ন করেছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তানিয়া ভরদ্বাজ। অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই মমতা বেমালুম বলে দেন তানিয়া ‘মাওবাদী, সি পি এমের ক্যাডার।’ 

কামদুনির টুম্পা-মৌসুমীরা নিজেদের দুরবস্থার কথা জানাতে চাইলে ‘চোপ’ বলে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দেন ‘ওরা সি পি এম। ওরা মাওবাদী।’

পাঁচ মিনিটেই তিনি বুঝে যান কে মাওবাদী আর কে নয়। কে সি পি এম আর কে নয়। ‘দুর্বৃত্ত চ্যানেলে’র বিদ্বজ্জনদের আলোচনায় কারা পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। বোঝার ক্ষমতা চাই। সবাই কি সব বোঝে! তিনি বোঝেন। সব বোঝেন। শুধু বুঝতে পারেননি সারদা’র সুদীপ্ত সেনকে। 

যেমন বুঝতেন ম্যাকার্থি। জোশেফ ম্যাকার্থি। 

চার্লি চ্যাপলিন থেকে ব্রেখট, পল রবসন থেকে পিট সিগার — কেউই রেহাই পাননি। এই বঙ্গে মমতা ফিরিয়ে এনেছেন বিশ শতকের সেই ম্যাকার্থিবাদ।

ম্যাকার্থিবাদ — বোস্টন থেকে প্রকাশিত আমেরিকান হেরিটেজ ডিকশেনরির সংজ্ঞায় — ‘বিরোধীদের দমন করতে অন্যায় অন্যায্য তদন্ত অথবা দোষারোপের প্রক্রিয়া।’ 

১৯৫০-’৫৪। গোটা আমেরিকাজুড়ে কমিউনিস্ট বিদ্বেষী জিগির। মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে ‘লাল আতঙ্কের দ্বিতীয় জমানা।’ 

প্রথম জমানা ১৯১৭সালে। ‘দুনিয়া কাঁপানো দশদিনে’র পর। সোভিয়েত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করলেন মার্কিন রাজনীতিকরা। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমস্ত ক্ষেত্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ‘ওই রাশিয়ানরা আসছে।’ ১৯৫৫সালে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা প্রেস থেকে প্রকাশিত রবার্ট আর কে মারের লেখা ‘রেড স্কেয়ার : এ স্ট্যাডি ইন হিস্টিরিয়া, ১৯১৯-২০’-তে আছে তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ।

দ্বিতীয়বার ম্যাকার্থির সময়। 

ম্যাকার্থি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনস্টিন প্রদেশ থেকে নির্বাচিত মার্কিন সেনেটের দাপুটে সদস্য। তার আগে থেকেই মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি। যদিও প্রচারের আলোয় আসেন ’৫০-র ফেব্রুয়ারিতে। লিঙ্কন দিবসের ভাষণ থেকে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় রিপাবলিকান উইমেন্স ক্লাব অব হুইলিংয়ে ম্যাকার্থি দাবি করেন, বিদেশ দপ্তরে কাজ করছেন এমন কমিউনিস্ট গুপ্তচরদের নামের তালিকা তাঁর কাছে রয়েছে, যারা দেশকে বেচে দেওয়ার চেষ্টা করছে। 

‘আমার কাছে ২০৫জনের একটি তালিকা রয়েছে — মার্কিন বিদেশসচিবকে সেই তালিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল, এঁরা সবাই কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। এঁরা এখন শুধু বিদেশদপ্তরে কাজই করছেন না, নীতি নির্ধারণেও ভূমিকা নিচ্ছেন।’ পরে তালিকার সংখ্যা কমিয়ে করেন ৫৭, আর চাপের মুখে মাত্র চারজনের নাম জানানোর কথা বলেন।

মার্কিন প্রতিনিধিসভার ‘মার্কিন-বিরোধী কার্যকলাপ (আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিস) কমিটি’র সমান্তরাল হিসেবে তখন কাজ করছে ম্যাকার্থির কমিটি। তিনি তখন মার্কিন সেনেটের ‘স্থায়ী তদন্ত সাব কমিটি’র প্রধান। 

কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক, নাট্যকার-শিল্পী থেকে বিজ্ঞানী — যাঁকে নিয়েই বিন্দুমাত্র সন্দেহ জেগেছে, তাঁকেই ‘কমিউনিস্ট’ বলে অভিযুক্ত করেন। সেনাবাহিনীর ভিতরে, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসেও কমিউনিস্টরা আস্তানা গেড়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। সর্বত্রই দেখেন কমিউনিস্টদের ভূত। নেমে পড়েন ‘ডাইনি সন্ধানে।’ 

যা ক্রমেই পরিণত হয় গণ-হিস্টিরিয়ায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, অঞ্চলে ‘কালো তালিকা’ করে কমিউনিস্ট তকমা লাগিয়ে শুরু হয় বয়কট অভিযান। এই জিগির কার্যত ছিনিয়ে নেয় মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীন চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার। ভয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন সকলেই। ম্যাকার্থিবাদের কমিউনিস্ট বিদ্বেষী জিগিরের শিকার হন বহু নিরীহ, নিরাপরাধ সাধারণ মানুষ।

সেনাকর্তারা তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ ম্যাকার্থির চোখ রাঙিয়ে বলেন, ‘কমিউনিস্টদের লালন করছে এমন নামের তালিকা কি সেনাবাহিনী দেবে, না কি আমরা তাদের সেনেটে ডেকে পাঠাব?’ দাবি করেন বিরাট সংখ্যায় কমিউনিস্ট সদস্য এবং সোভিয়েত গুপ্তচরেরা রয়েছেন মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরে। এবং সর্বত্র। কোনও তথ্য-প্রমাণের তোয়াক্কা না করে, কাউকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে হলেই ‘কমিউনিস্ট’ তকমা সেঁটে দিতেন। ডেকে আনতেন সেনেটের শুনানিতে। ম্যাকার্থির অভিযোগের ভিত্তিতে, মিথ্যা প্ররোচনায় চাকরি খোয়ান অনেকে। কেউ কেউ হন একঘরে। কেউবা অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

‘কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় এলে কী হতে পারে?’ — মার্কিন মুলুকে আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিস সংক্রান্ত মার্কিন কংগ্রেসের হাউস কমিটি ঠিক ওই সময়েই প্রকাশ করে একটি প্যামপ্লেট: ‘হান্ড্রেড থিংস শুড নো অ্যাবাউট কমিউনিজম ইন ইউ এস এ’। 

তাতে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে কমিউনিস্টরা মানে :

প্রশ্ন : আমার বীমার কী হবে?

উত্তর : বীমা যাবে কমিউনিস্টদের পকেটে।

প্রশ্ন : কমিউনিজম কি এর চেয়ে ভালো কিছু দিতে পারে?

উত্তর : জীবনভর কঠোর পরিশ্রম করানো ছাড়া আর কিছুই তাদের দেওয়ার নেই।

ইন্ডিয়ানা প্রদেশের পাঠ্যবই কমিশনের পদস্থ অফিসার আদা হোয়াইট রবিন হুডের গল্প স্কুল থেকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তব দেন। তাঁর দাবি, ‘রবিন হুড ছিলেন একজন কমিউনিস্ট।’

মার্কিন সেনাবাহিনী প্রকাশ করে ছ’পাতার প্যামপ্লেট : ‘কীভাবে চিহ্নিত করবেন একজন কমিউনিস্টকে?’

তীব্র কমিউনিস্ট বিদ্বেষ, কুৎসা প্রচার এমন জায়গায় পৌঁছয় যে মানুষ সত্য-মিথ্যা বিচারের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। যে কোনও প্রতিবাদকেই ‘দেশদ্রোহী’ (আন-আমেরিকান), ‘আতঙ্কবাদী’ তকমা সাঁটিয়ে কন্ঠরোধ করা ছিল দস্তুর। 

এই ২০শে জুন ছিল রোজেনবার্গ দম্পতি হত্যার ৬০-তম বার্ষিকী। গোপনে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের কাছে আমেরিকার আণবিক বোমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগে জুলিয়াস ও ইথেল রোজেনবার্গকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যা ছিল পুরোপুরি মিথ্যা। সি আই এ এবং এফ বি আই ঝুড়ি ঝুড়ি জাল তথ্য দিয়ে ফাঁসায় সম্পূর্ণ নির্দোষ এই দম্পতিকে। 

এই ভুয়ো মামলায় শাস্তি — মৃত্যুদণ্ড। রোজেনবার্গ মামলা চলাকালীনই এর ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে বিভিন্ন গবেষক ও লেখক অজস্র তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন পুরোটাই সাজানো ছিল এই মামলা। তিন বছর ধরে চালানো হয় এই মামলা। 

আলবার্ট আইনস্টাইন, নোবেলজয়ী পরমাণু বিজ্ঞানী হ্যারল্ড সি উরে, কবি লুই আরাগঁ, লেখজ জ্যাঁ পল সাত্রের মতো বিশিষ্টরা মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন জানান। তবু নির্বিকার থাকে মার্কিন প্রশাসন। ১৯৫৩’র ১৯শে জুন সম্পূর্ণ নিরাপরাধ রোজেনবার্গ দম্পতিকে বসানো হয় ইলেকট্রিক চেয়ারে। আসলে সেই সময় কমিউনিস্ট জুজুর ভয় দেখানোর জন্যই দরকার হয়ে পড়েছিল এই মামলা। রোজেনবার্গ দম্পতির বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা ম্যাকার্থির প্রচারকে দেয় জনসমর্থন। 

যুক্তিহীন, আদর্শহীন, মানবতাবিরোধী এই ভয়ঙ্কর প্রচারের প্রধান পুরোহিত ছিলেন ম্যাকার্থি। এই কুৎসা প্রচারের শিকার ছিলেন চার্লি চ্যাপলিন, ব্রেখট, আর্থার মিলার, হাওয়ার্ড ফাস্ট, পিট সিগার, পল রবসন, পল সুইজি, ল্যাঙস্টন হিউজ, নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী লাওনাস পাওলিংয়ের মতো সর্বকালের অন্যতম চিন্তাবিদ, মনীষী, শিল্পীসহ মানবতাবাদীরা। 

ট্রুমানের বিখ্যাত উক্তি, ‘একটি স্বাধীন দেশে মানুষের শাস্তি পাওয়া উচিত তাঁর অপরাধের জন্য, কিন্তু কখনোই বিশ্বাসের জন্য নয়।’

ডিসেম্বর, ১৯৫৪। সেনেটের একজন সদস্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য সেনেট ‘সেন্সর’ করে ম্যাকার্থিকে। তিনবছর বাদে ৪৮বছর বয়েসে তিনি মারা যান। 

যদিও আজও তিনি আছেন। ফিরে এসেছেন এই বাংলায়। ম্যাকার্থির ব্যাটন এখন মমতার হাতে। 

সময়টা কঠিন। আক্রমণ দৈহিক। আক্রমণ মতাদর্শগত। প্রতিদিন শহীদ হচ্ছেন কমরেডরা। ছাড়তে হচ্ছে এলাকা। গুঁড়িয়ে যাচ্ছে পার্টি অফিস। আক্রমণ কেবল পার্টির ওপর নয়, আক্রমণ ৩৪বছরে বামফ্রন্ট সরকারের মাধ্যমে মানুষ যা অর্জন করেছেন তার ওপর। আক্রান্ত শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার। ছাত্রের নিজস্ব সংসদ। আক্রান্ত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সমস্ত প্রতিষ্ঠান। আর এসব ছাপিয়ে মাথা তুলছে ভূমিসংস্কারের মাধ্যমে গরিব কৃষকের অর্জিত জমির ওপর আক্রমণ।

এখন মুখ্যমন্ত্রী একাই শুধু কথা বলবেন। বাকিদের চুপ করে শুনতে হবে। এখন কথা বলাও যেন অপরাধ। প্রতিবাদ করলে, প্রশ্ন করলেই ‘মাওবাদী, সি পি এমের ক্যাডার’।

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে বলতেন, ‘মাও-ফাও’ বলে কিছু নেই পশ্চিমবঙ্গে, ‘সব সি পি এমের প্রচার’। কারণ, সেসময় তৃণমূল-মাওবাদীদের ঘাতকবাহিনী খুন করে চলেছে সি পি আই (এম) নেতা-কর্মীদের। তাই তখন মাওবাদীদের আড়াল করা ছিল তাঁর পবিত্র রাজনৈতিক কর্তব্য। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এখন তিনি সর্বত্র মাওবাদী দেখছেন। শুধু দেখতে পান না জঙ্গলমহলে। পুলিস লাইন থেকে বেরিয়ে যেখানে তৃণমূলের প্রচারে মাওবাদীরা। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে জেলাপরিষদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে? সুচিত্রা মাহাতোর স্বামী, ‘প্রাক্তন’ মাওবাদী প্রবীর গড়াই।

আসলে মাওবাদীদের বিলক্ষণ দেখছেন। কোথাও না দেখে বলছেন। জেনেবুঝেই বলছেন। যেমন কামদুনি। কোথাও দেখেও বলছেন না। যেমন জঙ্গলমহল। আসলে দেখছেন ‘সি পি এমের ভূত’। প্রতিবাদ, বিরোধিতা দেখলেই ‘মাওবাদী হিস্টিরিয়া’ তৈরির ছক।

রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে দু’বছরেই প্রায় আট হাজার সি পি আই(এম) নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। এক বর্ধমানেই ১হাজারের বেশি সি পি আই (এম) কর্মী ও নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। সত্তরোর্ধ্ব প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ। ভোটের দিন দেখে সি আই ডি জেরার দিন ঠিক করা। কোথাকার কোন্‌ খুনের সঙ্গে পার্টিনেতাকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। তাড়াহুড়োতে পুলিসও ঠিকমতো সাজিয়ে উঠতে পারে না। ‘খুনের আসামী’র জন্য চায় না পুলিস হেফাজত। জেরার দরকার নেই তো! ভোটের দিন জেলে আটকে রাখলেই যথেষ্ট। 

প্রতি মুহূর্তেই আক্রান্ত গণতন্ত্র। চলছে দলতন্ত্রের স্টিম রোলার। 

পরিবর্তনের দু’বছরে ১০০জন বামফ্রন্ট কর্মী শহীদ।

আক্রমণ এখন শুধু বামপন্থীদের উপরেই সীমাবদ্ধ নেই। আক্রান্ত এখন সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিকরাও। তৃণমূলের হাতে কংগ্রেস কর্মী খুন। তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন। চাপের মুখে সি আই ডি তদন্ত। পরিবার চায় সি বি আই তদন্ত। সরকারী লাইব্রেরির তালিকা থেকে বাদ ‘অপ্রিয়’ সংবাদপত্র। তালিকায় চিট ফান্ডের সংবাদপত্রগুলিকে গুরুত্ব। তাঁবেদারি না করলেই নিষেধাজ্ঞা। 

আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। প্রতিবাদ করার গণতন্ত্র।

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44178#sthash.iHvkGjO5.dpuf

No comments:

Post a Comment